কি ব্যাপার কি ইঞ্জিনিয়ার সাব আপনি খিড়কি বন্ধ করে এত সুন্দর বউ কে লুকিয়ে রাখছেন এটা ঠিক করছেন না। এইভাবে লুকিয়ে রাখলে, আমার থেকে দূরে দূরে সরিয়ে রাখলে, আপনার বউ এর কিছু রঙিন ভিডিও কিন্তু আমাকে বানাতেই হবে।
আমি করুন সুরে ভয় পেয়ে বললাম, এটা আপনি কিছুতেই করতে পারেন না। আমরা আপনার কোনো ক্ষতি করি নি। বাজু ভাই বলল কি করতে পারি সেটা আপনার কোনো ধারণা নেই। আচ্ছা এইবার শুনুন, যে জন্য আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছি। পরশু আমার ভাই দিলেওয়ার জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে বেড়াচ্ছে ।
আমি পরবর্তী নির্বাচনে এই লোকাল বডি তে দারচ্ছি। তাই জন্য দিলে ওয়ার কে কটা সপ্তাহ আপনার বাড়িতেই শেল্টার দিতে হবে। বুঝেছেন?? ওর আমার জিগার কি কলিজা আছে। দিলেওয়ার এর তরফ থেকে কোনো অভিযোগ যেনো না আসে।”
আমি বাজু ভাই এর কথা শুনে ভগ্ন মনোরথ হয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। আমার বউ আমার মুখ দেখে জিগ্যেস করলো কি হয়েছে তোমার শরীর খারাপ লাগছে? আজ কে সাইট এ যাও নি।”
আমি বললাম , আমি টিকিট কেটে দিচ্ছি তুমি কালকের ট্রেনে ছেলে সমেত বাড়ি চলে যাও। এখানে থাকতে হবে না। এই শহর টা আমার মোটেও এখানে ভালো লাগছে না। এখনকার আবহাওয়া সুট করছে না।” দিশা আমার মিথ্যে টা ধরে ফেললো, কি হয়েছে আমায় খুলে বলো।”
আমি বাজু ভাই এর সব কথা খুলে বললাম। শুনে দিশার ও পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো, ও কাপতে কাপতে আমায় জিজ্ঞেস করল, ” এখন তুমি কি করবে, লোক টা খুব খারাপ সেটা আমি আগে থেকেই বুঝেছিলাম। এই বাড়িতে ঐ সব জেল ফেরত আসামি ঢোকানো যাবে না। আর আমি গেলে তোমাকেও সঙ্গে নিয়ে যাবো। এই খানে ফেলে রেখে যাবো না।”
আমি বললাম ” ঠিক আছে চট পট একটা লাগেজে যেগুলো না হলেই নয়, যেমন টাকা গয়না , ব্যাংক আর আইডেন্টিটির, কাগজ পত্র, অর্ঘ্যর বেবি ফুড , কিছু সব সময় পড়া যায় ভালো কাপড় চোপড় গুছিয়ে নাও। আমাদের আধ ঘণ্টার মধ্যে বেরোতে হবে। তাহলে বিকেলের ট্রেন টা ধরতে পারবো।”
দিশা কথা মত চট পট কাপড় চোপড় অর্ঘ্যর জিনিস পত্র টাকা গয়না সব কিছু গুছিয়ে নিলো আমরা চুপি চুপি বেরোতে যাবো
এমন সময় কমলা বাই আর বাজু ভাই এর রাইট হ্যান্ড মেন মনোহর আমাদের অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বস্ত হয়ে ওঠা কাজের লোক মনি প্রসাদ কে আহত করে আমার ছেলের দখল নিয়ে নিয়েছে।
এটা ওরা করেছিল আমাদের কে আটকাতে বাজু ভাই এর নির্দেশে। choti bou
ছেলে টা কমলা বাই জোর করেই ধরে রেখেছিল। সে মার কাছে আসবে বলে কান্নাকাটি করছিল। সে বার বার কাকুতি মিনুতি করলো ওদের কাছে, কিন্তু ওদের পাষাণ হৃদয় গললো না। শেষে আমাকে ওদের সামনে নতি স্বীকার করতে হলো।
মনোহর জানালো যতক্ষণ না বাজু ভাই এর ছোট ভাই দিলেওয়ার এখানে থাকতে আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দুধের শিশু ওদের হেফাজতে থাকবে। এই বলে ওরা আমাদের লাগেজ কেরে নিয়ে জোর করে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দিল।
বাইরে পাহারা আরো স্ট্রিক্ট হলো। choti bou
পরশুদিন সন্ধ্যে বেলা, দিলেওয়ার কয়েক জন সাঙ্গ পাঙ্গ সমেত আমাদের বাড়িতে এসে হাজির হলো। দিলওয়ার একাই থাকবে বাকিরা ওকে ছাড়তে এসেছিল। দিলেওয়ার কে দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় বাজু ভাই এর আপন ভাই। , দিশা তো ওকে গাড়ি থেকে নামতে দেখেই লুকিয়ে পড়েছিল।
মুখের অভিব্যক্তি দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় যে সে মার্কা মারা শয়তান একটা রেপ কেসে ও জেলে গেছিলো। প্রমাণের অভাবে জামিন পেয়ে গেছে। ওরা এসেই সামনে ছোট বসার ঘর টা তে মদের বোতল সব সাজিয়ে আসর জমালো। একটু রাত মতো হলে সব সাঙ্গ পাঙ্গ চলে গেলো।
শুধু একজন আর্মস সমেত আমাকে চোখে চোখে রাখবার জন্য থেকে গেলো। নিজের বাড়িতেই নজর বন্দী হয়ে গেছিলাম। আর অর্ঘ যখন মায়ের দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল, তখন কমলা এসে দিশার হাত ধরে বললো, চলো তোমাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দি। দিলেওয়ার জী তোমা র অনেক কথা শুনেছে। এইবার তোমাকে দেখতে চেয়েছেন।
দিশা ভয় পেয়ে তার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলল, ” আমি লোক তার সামনে যাবো না। কিছুতেই যাবো না। আমার হাত ছাড়।” কমলা বাই আরো জোরে দিশার হাত চেপে ধরে বললো, যদি ভালো চাও তো আমার সঙ্গে চলো, কি ভেবেছো এত রূপ নিয়ে এখানে বাজু ভাই এর এরিয়া তে এসে পালিয়ে বেচে ফিরে যাবে।
চলো আমার সাথে।” এই বলে জোর করে দিশা কে সাজাতে নিয়ে গেলো। একটা নতুন বানানো হট পিছন খোলা ব্লাউজ এর সঙ্গে সেমি ট্রান্সপারেন্ট চুমকি বসানো শাড়ি পরিয়ে সুন্দর মানানসই মেক আপ দিয়ে রেডি করিয়ে সোজা দিলেওয়ার জীর ঘরে নিয়ে গেলো।
দিশা কে দেখে দিলেওয়ার এর চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছিলো। choti bou
সে লোলুপ দৃষ্টিতে দিশা কে দেখলো, তার কাছে ডাকলো। দিশা অস্বস্তি তে মুখ নিচু করে জবু থবু হয়ে দাড়িয়ে ছিল।
দিলেওয়ার হাত নেড়ে ওকে ওর কাছে ডাকলো। দিশা কিছুতেই লজ্জায় ওর কাছে যাবে না। কমলা বাই জোর করে ওকে নিয়ে গেলো আর দিলেওয়ার ভাইএর কাছে গিয়ে বসিয়ে দিল।
দিলেওয়ার জী একটা গ্লাস ভর্তি ড্রিঙ্ক শেষ করে দিশার হাত ধরে টেনে নিজের শরীরের কাছে টানলো, ওর মদ খাওয়া ভেজা ঠোঁট টা দিশার কাধে ছোয়াতে, দিশা ভয় পেয়ে চেচিয়ে উঠলো।
দিলেওয়ার তাতে কোনো পরোয়া না করে, শাড়ির আঁচল টান মেরে শরীর থেকে আলাদা করে দিল। দিশা করুন স্বরে ফোঁপাতে শুরু করলো, ” আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন না।
আমি একজন বিবাহিত স্ত্রী, আমায় ছেড়ে দিন , আপনার দুই পায়ে পড়ছি, এরকম সর্বনাশ করবেন না।” দিলেওয়ার দিশার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে ওকে চুপ করিয়ে দিল। তার পর ব্লাউজ এর বাঁধন পিঠের উপরে হাত রেখে খুলতে শুরু করলো।
দিশা এহেন পরিস্থিতিতে জীবনে কোনদিন পরে নি। সে সাধ্যমত দিলেওয়ার ভাই এর সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলবার প্রয়াস করলো কিন্তু সফল হল না। দিলেওয়ার এর সঙ্গে সে গায়ের জোরে একেবারেই পেরে উঠলো না।
দিলেওয়ার যখন টান মেরে ওর ব্লাউজ টা নামিয়ে আনলো, আমার সঙ্গে দিশার একবার চোখা চূখি হলো, কাপুরুষের মতো আমি দিশার থেকে নজর সরিয়ে নিলাম। শেষে দিলেওয়ার যখন ওর পিছনে এসে ওকে জাপটে ধরে চুমু খাওয়া আরম্ভ করলো দিশা ফোঁপাতে ফোঁপাতে আমাকে ওর সামনে থেকে চলে যাওয়ার ইশারা করলো।
দিলেওয়ার যখন ওকে জোর করে বিছানায় শুইয়ে দিল, আমি আর সেটা চোখ মেলে আর সহ্য করতে পারলাম না। চোখের জল মুছে লজ্জায় অপমানে ঘর থেকে বেরিয়ে পরলাম। বাইরে বসে থাকা বাজুভাই এর লোক আমাকে একা বেরিয়ে যেতে দেখে আটকালো না।
তারা জানতো আমি বেরিয়ে গেলেও, ফিরতে হবে, নিজের দুই প্রিয় মানুষ স্ত্রী এবং পুত্র কে ওদের জিম্মায় গচ্ছিত রেখে আমি কোথাও যেতে পারবো না।
বাজু ভাই এর হাভেলি তে গেলাম। choti bou
বাজু ভাই এর পায়ে গিয়ে পরলাম, স্ত্রীর সন্মান ইজ্জত ভিক্ষা করলাম। বাজু ভাই আমাকে ওর পায়ের কাছ থেকে তুলে উঠে ওর পাশে বসাল।,” আরে ইঞ্জিনিয়ার সাহাব, কি করছেন, ওসব ছাড়ুন না। আসুন মদ খান, আজ হাভেলি তে ভালো আইটেম আছে বিজলী, তার সঙ্গে রাত কাটান। মস্তি করুন। কিচ্ছু হবে না। আপনার ওয়াইফ কে বেশি দিন আটকে রাখব না। কটা দিন ফুর্তি করে ছেড়ে দেবো।”
এই বলে একটা খালি পাত্রে মদ ঢালতে লাগলেন, আমি বললাম, আমাদের এই জায়গা থেকে চলে যেতে দিন, আমার এসবে রুচি নেই।” বাজু ভাই হেসে জবাব দিল, ” রুচি বানিয়ে নিন। দেখবেন সব কিছু অভ্যাস হয়ে যাবে। বেশি কিছু না, আপনার স্ত্রী কে এবার থেকে আমাদের কুঠি তে সপ্তাহে একদিন করে পাঠিয়ে দেবেন।
এর জন্য আমরা আপনাকে আমরা ভালো করে পুষিয়ে দেবো। আপনি যা স্যালারি পান, তার তিন ডবল টাকা পাবেন, তাছাড়া হাভেলি তে এসে বিজলী দের সঙ্গে ফুর্তি ভি করবেন”
আমি ওর কথা শুনে চমকে উঠলাম। বাজু ভাই এর উপর খুব রাগ হলো। বাজু ভাই এর পিছনে এক বন্দুক ধারি পেয়াদা দাড়িয়ে ছিল। তাকে দেখে কোনো রকমে নিজের রাগ সামলালাম।
আমাকে দেখে বাজু ভাই বললো,” আমার উপর খুব রাগ হচ্ছে না, ঠিক আছে তোমার রাগ শান্ত করার ওষুধ ও আছে।” এই বলে বাজু ভাই জোরে হাক মারলো। এই বিজলী যারা বাহার অাকে ইসস বাবু কো যারা আন্ডার লে জানা।”
হাভেলির ভিতর থেকে বাশির মত মিষ্টি স্বরে উত্তর ভেসে আসলো। ” হা জী জরুর।”